Page Nav

HIDE

Classic Header

{fbt_classic_header}

NEW :

latest

প্রাচীন ও মধ্যযুগ থেকে নির্বাচিত 20টি 2 নম্বর মানের প্রশ্নোত্তর (set - 01) :

        : প্রাচীন ও মধ্যযুগ থেকে নির্বাচিত 20টি 2 নম্বর মানের প্রশ্নোত্তর :         : প্রশ্নের বিষয় :  চর্যাপদ,  শ্রীকৃষ্ণকীর্তন,  চন্ডিদা...


      
 : প্রাচীন ও মধ্যযুগ থেকে নির্বাচিত 20টি 2 নম্বর মানের প্রশ্নোত্তর :        
: প্রশ্নের বিষয় : 
চর্যাপদ,  শ্রীকৃষ্ণকীর্তন,  চন্ডিদাস,  বিদ্যাপতি,  জ্ঞানদাস,  গোবিন্দদাস,  মুকুন্দ চক্রবর্তী,  ভারতচন্দ্র রায়,  বিজয় গুপ্ত, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ, ঘনরাম চক্রবর্তী,  কৃত্তিবাস ওঝা,  মালাধর বসু,  কাশীরাম দাস, বৃন্দবন দাস,  কৃষ্ণদাস কবিরাজ, সৈয়দ আলাওল,  দৈৗলত কাজি,  রামপ্রসাদ সেন ও কমলাকান্ত ভট্টাচার্য ।
                                                                                                                                                                                                

১) চর্যাপদ কে কবে কোথা থেকে সংগ্রহ করেন ? এর রচয়িতা কারা ? চর্যাপদ কোন ভাষায় লেখা ? এরূপ নামকরণের কারণ কি ?
⬐ চর্যাপদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ খ্রীঃ নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার থেকে সংগ্রহ করেন।
⬐ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ চর্যাপদের রচয়িতা।
⬐ চর্যাপদ সান্ধ্য ভাষায় লেখা।
⬐ নামকরণের কারণ :
    ‘সান্ধ্য’ ভাষা হলো আলো-আঁধারি ভাষা, অর্থাৎ কিছুটা বোঝা যায়, কিছুটা বোঝা যায় না – তাই এরূপ নামকরণ ।


২) ‘বড়াই’ চরিত্রটি কোন কাব্যের ? কাব্যটি কে কবে কোথা থেকে আবিস্কার করেন ? চরিত্রটি এই কাব্যে কতটা প্রয়োজন ? এই কাব্যের অপর দুই মুখ্য চরিত্রের নাম লিখুন ।
 ‘বড়াই’ চরিত্রটি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের অন্তর্গত।
⬐ কাব্যটি বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের অধিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘরের মাঁচা থেকে আবিস্কার করেন ।
⬐ এ কাব্যে ‘বড়াই’ রাধার দূতী। মধ্যযুগের প্রেমাখ্যানে দূতী বা সখীর গুরুত্ব অপরীসীম।
⬐ শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের অপর দুই মুখ্য চরিত্র রাধা ও কৃষ্ণ।



৩) পদাবলির চণ্ডীদাস এর জন্মস্থান কোথায় ? তাঁর পদ বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে অনধিক ৪০টি শব্দে লিখুন।
⬐ পদাবলির চণ্ডীদাস এর জন্মস্থান বীরভূম জেলার নান্নুর গ্রামে।
⬐ পদ বৈশিষ্ট্য :
        রবীন্দ্রনাথের ভাষার চণ্ডীদাস বিরহের কবি, পূর্বরাগের কবি, তাঁর পদের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্য হল বিরহ তাপিত অন্তরের ব্যথা বেদনাকে সহজ প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যক্ত করা। কোনরূপ দুরুহতার আবরণে তা ঢাকা নয়।


৪) বিদ্যাপতির কৌলিক ধর্মমত কী ছিল? তাঁর আবির্ভাব ও তিরোধানের আনুমানিক সময়কাল লিখুন। তার রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদগুলি কোন ভাষায় লেখা ? সেই ভাষার ওই নামকরণের কারণ কী ?
⬐ বিদ্যাপতির কৌলিক ধর্মমত ছিল শৈব।
⬐ তাঁর জন্ম আনুমানিক চতুর্দশ শতকের শেষ দিকে এবং মৃত্যু ঘটে ১৪৬০ খ্রিঃ।
⬐ তাঁর রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদগুলি ব্রজবুলি ভাষায় রচিত—এমন মত প্রচলিত।
⬐ নামকরণের কারণ :
           সমালোচক অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে-বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় পদ লেখেননি। তিনি মৈথিলি ভাষায় পদ রচনা করেন। পরে তাঁর পদগুলি বাংলা, আসাম, উড়িষ্যা প্রভৃতি অঞ্চলে প্রচারিত হলে, অনেক স্থানীয় ভাষা প্রবেশ করার ফলে একটি কৃত্রিম ভাষা প্রচলিত হয়, যার নাম ব্রজবুলি ভাষা।


৫) দুজন চৈতন্যোত্তর কবির নাম লিখুন । উভয়ের মধ্যে পার্থক্য নিরুপন করুন ।
⬐ দু-জন চৈতন্যোত্তর বৈষ্ণুব কবি হলেন জ্ঞানদাস ও গোবিন্দদাস।
⬐ পার্থক্য :
(a) জ্ঞানদাস শিল্পী, রূপ স্রষ্টা ও রোমান্টিক কবি, গোবিন্দ দাস সৌন্দর্য রসিক কবি।
(b)জ্ঞানদাসের কাব্য সহজ-সরল, গোবিন্দদাসের পদ অলংকৃত।
(c) জ্ঞানদাস আক্ষেপানুরাগ পর্যায়ে পদ রচনায় খ্যাতি অর্জন করেছেন, গোবিন্দদাস অভিসার পর্যায়ে পদ রচনায় খ্যাতি অর্জন করেছেন।



৬) গোবিন্দ দাস কোন্ সময়ের কবি? তাঁর আর এক নাম কী? কোন্ পর্যায়ের পদ রচনায় তিনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন?
⬐ গোবিন্দ দাসের জন্ম ১৫৩৭ খ্রিঃ অর্থাৎ তিনি উত্তর চৈতন্য যুগের কবি।
⬐ তাঁর আর এক নাম ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি', তিনি কবিরাজ উপাধিতে ভূষিত ।
⬐ বৈষ্ণব পদাবলীর ‘অভিসার’ রসপর্যায়ের পদ রচনায় তিনি শ্রেষ্ঠ।


৭) কবিকঙ্কন মুকুন্দের কাব্যের প্রকৃত নাম কী ? কাবটির কটি কাহিনি ? কাহিনিগুলির শীর্ষনাম কী? কাহিনিগুলির প্রতিটি থেকে দুটি করে মুখ্য চরিত্রের নাম লিখুন।
⬐ কবিকঙ্কন মুকুন্দের কাব্যটির প্রকৃত নাম ‘অভয়ামঙ্গল।
⬐ কাব্যটির দুটি কাহিনি, কাহিনি দুটির শীর্ষ নাম 'আখেটিক খণ্ড' ও 'বণিক খণ্ড'।
⬐ আখেটিক খণ্ডের মুখ্য চরিত্র হল—'কালকেতু ও ফুল্লরা।
⬐ বণিক খণ্ডের মুখ্য চরিত্র হল ধনপতি সদাগর ও শ্রীমন্ত।


৮) কবি ভারতচন্দ্র রায়ের উপাধি কী ? তিনি কোন্ রাজার সভাকবি ছিলেন ? কোন্ কাজের জন্য তিনি বিখ্যাত ? কাব্যটির রচনাকাল নির্দেশ করুন।
⬐ কবি ভারতচন্দ্র রায়ের উপাধি হলো ‘রায়গুনাকর'।
⬐ তিনি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
⬐ ‘অন্নদামঙ্গল কাব্যরচনার জন্য ভারতচন্দ্র বিখ্যাত।
⬐ কাব্যটি'র রচনা কাল ১৭৫২ খ্রিঃ।


৯) বিজয় গুপ্ত কোন্ অঞ্চলের কবি ? তিনি কোন শাখার কাব্য রচনা করেছেন ? তাঁর কাব্যের নাম কী? এই শাখার অপর একজন কবির নাম লিখুন।
⬐ বিজয় গুপ্ত পূর্ববঙ্গের কবি, জন্মস্থান বরিশাল জেলার গৈলা গ্রামে।
⬐ তিনি 'মনসামঙ্গল' শাখার প্রখ্যাত কবি।
⬐ তার কাব্যের নাম ‘পদ্মপুরাণ’।
⬐ এই শাখার অপর খ্যাতনামা কবি হলেন নারায়ণ দেব।


১০) মনসামঙ্গল কাব্যের কোন্ কবির রচনা প্রথম মুদ্রিত হয়? কাব্যের নাম কি ? তিনি কোন অঞ্চলের কবি ? জন্মস্থান লিখুন । কাব্যটির আনুমানিক রচনাকাল কত? প্রকাশ কাল লিখুন।
⬐ মনসামঙ্গল কাব্যের কবি কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের গ্রন্থটি প্রথম মুদ্রিত হয়।
⬐ কাব্যটির নাম ‘ক্ষেমানন্দী’।
⬐ তিনি রাঢ় বঙ্গের কবি ।
⬐ জন্ম বর্ধমান জেলার কাঁদড়া গ্রামে।
⬐ কাব্যটির অনুমানিক রচনা কাল ১৬৪০ খ্রীঃ।
⬐ কাব্যটি মুদ্রিত হয় ১৮৪৪ খ্রিঃ।



১১) ঘনরাম চক্রবর্তী রচিত কাব্যটির নাম কী ? কাব্যটির রচনাকাল কবে ? তাঁর কাব্যের বৈশিষ্ট্য দুটি বাক্যে লিখুন
⬐ ঘনরাম চক্রবর্তী রচিত কাব্যের নাম অনাদিমঙ্গল বা, শ্রীধর্মসংগীত বা মধুর ভারতী।
⬐ তাঁর কাব্যটি ১৭১১ খ্রিঃ রচিত হয়।
⬐ কাব্য বৈশিষ্ট্য :
(a) পণ্ডিত্যের সঙ্গে রসবোধ, পৌরাণিক বিদ্যাবত্তার সঙ্গে হিন্দু শিক্ষা সংস্কৃতির মেল বন্ধন গভীর অন্তর্দৃষ্টির সঙ্গে বাস্তবধর্মী চরিত্র চিত্রন তাঁর কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
(b) গ্রাম্য স্থূল কুরুচি থেকে তাঁর কাব্য মুক্ত।


১২)। বাংলায় ‘রামায়ণ’-এর আদি অনুবাদক কে? তাঁর জন্ম স্থান কোথায় ? তাঁর কাব্যের নাম কী? তাঁর কাব্যের কটি ভাগ?
⬐ রামায়ণের বাংলা ভাষায় আদি অনুবাদক হলেন—কৃত্তিবাস ওঝা।
⬐ কবির জন্মস্থান—নদীয়া জেলার ফুলিয়া গ্রামে।
⬐ তাঁর লিখিত গ্রন্থের নাম—“শ্রীরাম পাঁচালি”।
⬐ গ্রন্থটি সাতটি খণ্ডে বিভক্ত। যথা—– (1) আদিকান্ড, (2) অযোধ্যাকান্ড, (3) অরণ্যকান্ড, (4) কিস্কিন্ধ্যাকান্ড, (5) সুন্দরকান্ড, (6) লঙ্কাকান্ড, (7) উত্তরকান্ড ।


১৩) 'গুণরাজ খাঁ' কে? তিনি কোন্ কাব্যের জন্য বিখ্যাত ? কাব্যটির গুরুত্ব দুটি বাক্যে লিখুন।
⬐  রুকনুউদ্দিন বরবক শাহ ‘মালাধর বসু’ কে 'গুণরাজ খাঁ’ ‘খেতাব দিয়ে ছিলেন।
⬐ তিনি 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়' কাব্যের জন্য বিখ্যাত।
⬐ কাব্যের গুরুত্ব :
(a) ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ভাগবতের অংশ বিশেষ অনুবাদ গ্রন্থ হিসাবে স্বীকৃত।
(b) কবি এখানে সহজ সরল বাংলা ভাষায় শ্রীকৃষ্ণ জীবন ও স্বরূপকে উদঘাটন করতে সমর্থ হয়েছেন।


১৪) কোন্ শতকে কাশীরাম বাংলায় মহাভারত অনুবাদ করেন ? তাঁর পৈতৃক উপাধি কী? তিনি মহাভারতের কটি পর্ব অনুবাদ করেছিলেন ? কবির কাব্য সম্পর্কে দুটি বাক্যে লিখুন।
⬐ ষোড়শ শতকের শেষ অথবা সপ্তদশ শতকের গোড়ার দিকে কাশীরাম দাশ মহাভারত অনুবাদ করেন।
⬐ তাঁর পৈতৃক উপাধি ‘দেব’ ।
⬐ তিনি মহাভারতের আদি, সভা, বন ও বিরাট পর্বের কিছুটা অনুবাদ করেন।
⬐ কাব্য আলোচনা :
        মহাভারত জাতীয় মহাকাব্যরূপে স্বীকৃত। বাঙালিরা সংস্কৃতে তেমন পারদর্শী নয়, তাই তাদের উপযোগী মহাকাব্য বয়নে বাংলাভাষায় কাশীকবি মহাভারত রচনা করেন ব্যাসের অনকরণে। কাজেই বাঙালির ঘরে ঘরে তা সমাদৃত হল।


১৫) বৃন্দাবন দাসের কাব্যের নাম কী ? গ্রন্থটি কটি খণ্ডে বিভক্ত ? প্রত্যেক খণ্ডে কটি করে পরিচ্ছেদ রয়েছে? গ্রন্থটির এই নামকরণের কারণ কী?
⬐ বৃন্দাবন দাসের কাব্যের নাম—“চৈতন্য ভাগবত।”
⬐ গ্রন্থটিতে আদি-মধ্য-অস্ত এই তিনটি খণ্ড রয়েছে।
⬐ আদি খণ্ডে—15টি মধ্য খণ্ডে–26টি, অস্তখণ্ডে—10টি পরিচ্ছেদ রয়েছে।
⬐ নামকরণের কারণ :
        গ্রন্থটি ভাগবৎ পুরানের অনুসরণে লেখা। এখানে গ্রন্থকার শ্রীচৈতন্যকে শ্রীকৃষ্ণের আর এক রূপ হিসাবে অঙ্কন করেছিলেন বলেই বৃন্দাবনে গোস্বামীরা এই নামকরণ করেন।



১৬) শ্রেষ্ঠ চেতন্য জাবনা কাব্যের নাম কী? গ্রন্থটির রচয়িতা কে? গ্রন্থটি কটি খণ্ডে বিভক্ত ? খণ্ডগুলিতে মোট কটি পরিচ্ছেদ আছে ?
⬐ শ্রেষ্ঠ চৈতন্য জীবনী কাব্যের নাম ‘শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত”।
⬐ গ্রন্থটির রচয়িতা কৃষ্ণদাস কবিরাজ।
⬐ গ্রন্থটি তিনটি খণ্ডে (আদি, মধ্য ও অস্ত্য) বিভক্ত।
⬐ খণ্ডগুলিতে মোট (আদি-১৭, মধ্য-২৫, অন্ত্য-২০) ৬২টি পরিচ্ছেদ আছে। ।


১৭) দৌলত কাজীর কাব্যের নাম কী ? রচনাকাল লিখুন, কাব্যটির উৎস ও পৃষ্ঠপোষকের নাম লিখুন।
⬐ দৌলত কাজী রচিত কাব্যটির নাম 'সতীময়না’ বা ‘লোরচন্দ্রানী।
⬐ কাব্যটি ১৬২১–১৬৩৮ খ্রিঃ মধ্যে রচিত হয়।
⬐ হিন্দি কবি মিয়াসাধনের ‘মৈনাকোসং' গ্রন্থটি 'সতীময়না' কাব্যের উৎস, কাব্যটির পৃষ্ঠপোষক আরকান রাজের সমরসচিব আশরফ খান।


১৮) আলাওল কোন্ শতাব্দীর কবি? তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যের নামোল্লেখ করে দুটি বাক্যে কাব্যটির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন।⬐  আলাওল সপ্তদশ শতকের কবি।
⬐ তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যের নাম ‘পদ্মাবতী' (১৬৪৬)
⬐ কাব্য বৈশিষ্ট্য :
(a) মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে লৌকিক প্রণয়ের আখ্যান কাব্য হিসাবে গ্রন্থটি উল্লেখযোগ্য |
(b) কাব্যটি চিত্রধর্মী ও গীতিধর্মী।


১৯)। “কমলাকান্ত ভট্টাচার্য কোন শাখায় কাব্য রচনা করেন।” তাঁর কবিতার বৈশিষ্ট্য খুব সংক্ষেপে, উল্লেখ করুন।
⬐ কমলাকান্ত ভট্টাচার্য—'শাক্ত পদাবলী' শাখায় কাব্যরচনা করেন।
⬐ কবিতা বৈশিষ্ট্য :
        কমলাকান্ত একদিকে কবি অন্যদিকে শিল্পী। তাঁর কবিতা-ছন্দ-অলংকার বহুল, শব্দগুলি শ্রুতিগ্রাহ্য। পদের ভাষা মার্জিত এবং সুবিন্যস্ত। তবে অন্তরিকতায় রামপ্রসাদের তুলনায় কিন্তুটা অগভীর। তিনি আগমনি-বিজয়া’ পর্যায়ের কবিতা রচায় শ্রেষ্ঠ।



২০) শ্রেষ্ঠ শাক্ত পদকর্তার নাম লিখুন। ইনি কোন রাজসভার কবি? ঐ রাজসভায় উপস্থিত আর এক বিখ্যাত কবির নাম ও গ্রন্থ লিখুন।
⬐ শ্রেষ্ঠ শাক্ত পদকর্তা হলেন—সাধক রামপ্রসাদ সেন।
⬐ তিনি কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি।
⬐ এই রাজসভায় উপস্থিত বিখ্যাত ব্যক্তি হলেন—রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র।
⬐ ভারতচন্দ্রের লিখিত বিখ্যাত গ্রন্থ—“অন্নদামঙ্গল”।

1 comment