প্রাক চৈতন্য পর্বের শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব গীতিকার মিথিলার কবি বিদ্যাপতি । তাঁর কবি জীবন ও ব্যক্তি জীবন নানা বৈচিত্রপূর্ণ । বড় বিস্ময়ের ব্যাপার এখান...
প্রাক চৈতন্য পর্বের শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব গীতিকার মিথিলার কবি বিদ্যাপতি । তাঁর কবি জীবন ও ব্যক্তি জীবন নানা বৈচিত্রপূর্ণ । বড় বিস্ময়ের ব্যাপার এখানেই যে বিদ্যাপতি বাঙালী নন, অথচ এই বঙ্গভূমিতেই তাঁর কবিখ্যাতি ও গৌরব লাভ করেছে বেশি । কবির রাধাকৃষ্ণ বিষায়ক পদাবলী আবিস্কৃত না হলে তাঁর আত্ম-প্রশংসা, দম্ভ ও গৌরব মিথিলার সীমা ছাড়াতে পারতো না । রাধা-কৃষ্ণ বিষায়ক পদই তাকে অমরত্ব দান করেছে ।
জীবনকথাঃ
কবি বিদ্যাপতি সম্পর্কে প্রথম প্রকৃত তথ্য উদ্ধার করেন রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় । দ্বারভাঙা পরিভ্রমণ করে বিদ্যাপতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে ১২৮২ বঙ্গাব্দে জ্যোষ্ঠ মাসের ‘বঙ্গদর্শনে’ ‘বিদ্যাপতি’ প্রবন্ধ প্রকাশ করেন । তিনি ঐতিহাসিক তথ্য উদ্ধার করে প্রমাণ করেন যে, বিদ্যাপতি বাঙালী নন । বিহারের দ্বারভাঙা জেলার মধুবনী পরগণার অন্তর্গত বিসফী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।তিনি মিথিলার রাজা শিব সিংহের সভাকবি ছিলেন । বিদ্যাপতির পৈত্রিক উপাধি ছিল ‘ঠাকুর’ (ঠক্কুর) ।
সময়কালঃ
কবি বিদ্যাপতি সম্পর্কে তথ্যবহ বিশেষ কিছু প্রমাণ না পাওয়ার কারণে তাঁর সময়-কাল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা কল্পনা ও অনুমানের আশ্রয় নিতে হয় । তাঁর রচিত গ্রন্থে মিথিলার রাজ বংশের উল্লেখ আছে, কোথাও সন-তারিখ পাওয়া যায় । এর থেকে তাঁর সময় কাল নির্নয় করা সম্ভব হয়েছে । তবুও গবেষকদের মধ্যে এবিষয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে । তারা অনুমান করেন কবি ১৪০০ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ১৫০০ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বা দ্বিতীয়ার্ধের কিছুকাল অবধি জীবিত ছিলেন ।
কবির বিভিন্ন উপাধিঃ
কবি বিদ্যাপতি নিজেকে তাঁর ‘কীর্তিলতা’ গ্রন্থে ‘খেলন কবি’ বা ‘খেলুড়ে কবি’ বলেছেন । এছাড়া বিদ্যাপতি বেশ কয়েকটি উপাধিতে ভুষিতঃ
১) ‘কবি সার্বভৌম’
২) ‘অভিনব জয়দেব’
৩) ‘মৈথিল কোকিল’
বিদ্যাপতির গ্রন্থঃ
পৃষ্ঠপোষক
রচনাবলী
দেব সিংহ
‘ভূপরিক্রমা’ ( আনুঃ ১৪০০)
কীর্তিসিংহ
‘কীর্তিলতা’ ( আনুঃ ১৪১০ - ১৪)
শিব সিংহ
‘কীর্তিপতাকা’ ( আনুঃ ১৪১০ - ১৪) ,
পুরুষ পরীক্ষা’ ( আনুঃ ১৪১০- ১৪) ।
পুরাদিত্য
‘লিখনাবলী’ (আনুঃ ১৪১৮)
পদ্মসিংহ ও বিশ্বাস দেবী
শৈবসর্বস্বহার’ ( আনুঃ ১৪৩০ - ৪০) ,
‘গঙ্গাবাক্যাবলী’ (আনুঃ ১৪৩০ - ৪০) ।
নরসিংহ ও ধীরমতি
‘দানবাক্যাবলী’ (আনুঃ ১৪৪০ - ৬০),
‘বিভাগসার’ (আনুঃ ১৪৪০ - ৬০) ।
ভৈরব সিংহ
‘দুর্গভক্তি তরঙ্গিনী’ (আনুঃ ১৪৪০ - ৬০)
পৃষ্ঠপোষক
রচনাবলী
দেব সিংহ
‘ভূপরিক্রমা’ ( আনুঃ ১৪০০)
কীর্তিসিংহ
‘কীর্তিলতা’ ( আনুঃ ১৪১০ - ১৪)
শিব সিংহ
‘কীর্তিপতাকা’ ( আনুঃ ১৪১০ - ১৪) ,
পুরুষ পরীক্ষা’ ( আনুঃ ১৪১০- ১৪) ।
পুরাদিত্য
‘লিখনাবলী’ (আনুঃ ১৪১৮)
পদ্মসিংহ ও বিশ্বাস দেবী
শৈবসর্বস্বহার’ ( আনুঃ ১৪৩০ - ৪০) ,
‘গঙ্গাবাক্যাবলী’ (আনুঃ ১৪৩০ - ৪০) ।
নরসিংহ ও ধীরমতি
‘দানবাক্যাবলী’ (আনুঃ ১৪৪০ - ৬০),
‘বিভাগসার’ (আনুঃ ১৪৪০ - ৬০) ।
ভৈরব সিংহ
‘দুর্গভক্তি তরঙ্গিনী’ (আনুঃ ১৪৪০ - ৬০)
অন্যান্য রচনাঃ
কবি বিদ্যাপতি ‘রূপনারায়ণ’ নামে একটি কাব্য রচনা করেন । শোনা যায় তিনি ‘গোরক্ষোপাখ্যান’ নামে একটি নাটক রচনা করেন ।
গ্রন্থের ভাষাঃ
বিদ্যাপতি রচিত ‘কীর্তিলতা’ ও ‘কীর্তিপতাকা’ গ্রন্থ দুটি অবহটঠ / অবহট্ট ভাষায় রচিত । বাকি গ্রন্থগুলি সংস্কৃত ভাষায় রচিত বলে মনে করা হয় ।
গ্রন্থ পরিচয়ঃ
কবির প্রথম গ্রন্থ ‘ভূ-পরিক্রমা’ এবং শেষ গ্রন্থ ‘দুর্গাভক্তি তরঙ্গিনী’ । তবে মনে রাখতে হবে বিদ্যাপতি আমাদের কাছে স্মরনীয় হয়ে রয়েছেন, তাঁর মধুর পদাবলীর জন্য, গ্রন্থাবলীর জন্য ।
বিদ্যাপতির পদঃ
বিদ্যাপতির বয়ঃসন্ধির পদে, রূপ বর্ণনায়, অভিসারে, মান-মাথুর ও ভাবোল্লাস পর্যায়ের পদে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছেন । বিদ্যাপতির উৎকর্ষতা সব্বোর্চ স্তরে পৌছেছে ‘মাথুর’ পর্যায়ের পদ রচনার জন্য ।
বিদ্যাপতির পদের শ্রেণীঃ
বিদ্যাপতির সমস্ত পদকে মোট ৫টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়ঃ
১) রাধা-কৃষ্ণ বিষায়ক পদাবলী,
২) হর-গৌরি ও কালি বিষায়ক পদাবলী,
৩) গঙ্গা বিষায়ক পদাবলী,
৪) প্রহেলিকা জাতীয় বিষায়ক পদাবলী,
৫) দেবতা সম্পর্কহীন বিভিন্নধর্মী পদাবলী ।
বিদ্যাপতির পদ সংখ্যাঃ
বিদ্যাপতির পদ সংখ্যা সর্বমোট প্রায় ৯০০টি । এর মধ্যে রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদ ৫০০টির মতো ।
পদাবলীর প্রকাশ ও সংকলনঃ
‘ক্ষনদাগীত চিন্তামণি’, ‘পদামৃত সমুদ্র’, ‘পদকল্পতরু’, ‘সংকীর্তনামৃত’ ও ‘কীর্তনানন্দ’ -- এই পদ সংকলন গ্রন্থটিতে বিদ্যাপতির পদ গৃহীত হয়েছে ।
সংকলন গ্রন্থ | সময় কাল | সংকলক |
‘ক্ষনদাগীত চিন্তামণি’ | (১৮০০ শতকের প্রথম পাদ) | বিশ্বানাথ চক্রবর্তী |
‘পদামৃত সমুদ্র’ | (১৮০০ শতকের প্রথম পাদ) | রাধামোহন ঠাকুর |
‘পদকল্পতরু’ | (এটি সর্ববৃহৎ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পদ সংকলন, পদ সংখ্যা ৩১০১টি, ১৮০০ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ) | গোকুলানন্দ সেন সম্পাদকঃ সতীশচন্দ্র রায় |
পদাবলীর ভাষাঃ
বিদ্যাপতির ভনিতাযুক্ত যাবতীয় পদ মূলত মৈথিলী ভাষায় রচিত । কিন্তু ওই সমস্ত পদ মৈথিলীয় পাওয়া যায় না বলে পদগুলির মৈথিলী আকার সঠিকভাবে ধরা যায় না । বিদ্যাপতির মৈথিলী পদগুলি বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে সেই আঞ্চলিক ভাষায় প্রভাবে কিছু রূপান্তরিত হয়ে ‘ব্রজবুলি’ নাম গ্রহণ করে । বঙ্গদেশে প্রাপ্ত ও প্রচলিত তার সমস্ত পদগুলির ভাষা ব্রজবুলি,মৈথিলী বা বাংলা নয় ।
ব্রজবুলিঃ
‘ব্রজবুলি’ হল একপ্রকার কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা , যা মূলত মৈথিল ভাষার সাথে অন্যান্য পাশ্ববর্তী ভাষার সংমিশ্রনে গড়ে উঠেছিল । কোথাও কোথাও মৈথিল ভাষার সাথে ওড়িয়া ভাষার , কোথাও বা অসমিয়া ভাষার , আবার কোথাও বা বাংলা ভাষার সংমিশ্রন ঘটেঠে । এই সংমিশ্রিত কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা হল ‘ব্রজবুলি’ ভাষা ।
বিদ্যাপতি সমস্যাঃ
অপূর্ব কবিত্বের জন্য পূর্বভারতে ‘অভিনব জয়দেব’অতিশয় খ্যাতি লাভ করেছিল । তাই অনেক কবি তার অনুকরণ করেছিলেন । কেউ কেউ বিদ্যাপতির ভনিতা গ্রহণ করে তাদের অক্ষম রচনাকে লোক সমাজে প্রচলিত করতে চেয়েছিলেন । ‘কবিরঞ্জন’, ‘কবিশেখর’, ‘কবিবল্লভ’, ‘ভূপতিসিংহ’ -- ইত্যাদি ভনিতাযুক্ত পদগুলিকে বঙ্গদেশের সংকলনে বিদ্যাপতির রচনা বলে মনে করা হয় । কিন্তু নেপালী ও মিথিলার পদ বিশ্লেষণে জানা যায় , এই ভনিতাযুক্ত পদগুলি বিদ্যাপতির হতে পারে না । ফলে বিদ্যাপতির পদ নিয়ে এক জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে , যা বিদ্যাপতি সমস্যা নামে পরিচিত ।
বাংলা সাহিত্যে অন্তর্ভুক্তির কারণঃ
বিদ্যাপতি বাঙালি না হয়ে, বাংলা ভাষায় একটিও পদ রচনা না করেও তাকে বাংলা সাহিত্যে অন্তর্ভুক্তির কারণগুলি হল—
প্রথমত, সেসময় মিথিলা ও বাংলার সাংস্কৃতিক ঐক্য ছিল যথেষ্ট।
দ্বিতীয়ত, স্বয়ং চৈতন্যদেব বিদ্যাপতির পদ নিয়মিত রসাস্বাদন করতেন।
তৃতীয়ত, পরবর্তীতে বাংলায় রচিত বৈষ্ণব পদে তাঁর প্রভাব ছিল যথেষ্ট। তাই গোবিন্দদাসকে দ্বিতীয় বিদ্যাপতি বলা হয়।
চতুর্থত, বাঙালির ঐকান্তিক চেষ্টায় তার পদ রক্ষিত হয়েছে, যা মিথিলাতেও হয়নি।
পঞ্চমত, জয়দেব ও বড়ুচণ্ডীদাসের পর রাধাকৃয় কথা কাহিনি বিদ্যাপতির পদ রচনায় পাওয়া যায়, যা বাঙালির অত্যন্ত প্রিয়।
এক নজরে বিদ্যাপতি |
2. চৈতন্য পূর্ববর্তী বৈষ্ণব পদকর্তা বিদ্যাপতি ।
3. বিদ্যাপতি বিহারের দ্বারভাঙা জেলার মধুবনী পরগনার বিসফি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন ।
4. বিদ্যাপতি চতুর্দশ - পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি ।
5. বিদ্যাপতির পিতার নাম গনপতি ঠাকুর ।
6. বিদ্যাপতি কুল পদবী ‘ঠক্কুর’ (ঠাকুর) ।
7. বিদ্যাপতির ------ পিতামহ - জয়দত্ত ।
8. কন্যার নাম - দুলহা / দুল্লহি ।
9. পুত্রের নাম - হরপতি, নরপতি ও বাচ্যপতি ।
10. পুত্রবধুর নাম - চন্দ্রকলা ।
11. বিদ্যাপতি বংশগতভাবে শৈব ধর্মে দীক্ষিত ছিলেন ।
12. ব্রজবুলি ভাষার প্রবর্তক বিদ্যাপতি ।
13. দেবসিংহের অনুরোধে বিদ্যাপতি কাব্যচর্চা শুরু করেন ।
14. বিদ্যাপতি মিথিলার কামেশ্বর / ভোগীশ্বর রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন ।
15. বিদ্যাপতি মোট ৭ জনের ( ৬জন রাজা এবং এক রানীর) পৃষ্ঠপোষকতা পান ।
16. রাজা শিব সিংহের রাজসভায় থাকাকালীন বিদ্যাপতি বেশিরভাগ পদাবলী রচনা করেন ।
16. রাজা শিব সিংহের রাজসভায় থাকাকালীন বিদ্যাপতি বেশিরভাগ পদাবলী রচনা করেন ।
17. বিদ্যাপতি বহু রাজার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন ।
18. বিদ্যাপতির উপাধি - ‘মৈথিল কোকিল’, ‘অভিনব জয়দের’, ‘নব কবিশেখর’, ‘কবি সার্বভৌম’ , ‘রসিকসভাভূষণ সুখকন্দ’।
19. বিদ্যাপতিকে ‘মৈথিল কোকিল বলেছেন রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ।
20. বিদ্যাপতিকে ‘অভিনব জয়দেব’ বলেছেন শিবসিংহ ।
21. বিদ্যাপতি ‘কীর্তিলতা’গ্রন্থে নিজেকে ‘খেলন কবি’ বলেছেন ।
22. খেলন কবি’ কথার অর্থ ( কবির খেলা করার বয়স অর্থাৎ কিশোর কাল) কিশোর কবি
23. বিদ্যাপতি রচিত পদের সংখ্যা ৯০০টির মত ।
24.‘পদকল্পতরু’তে বিদ্যাপতির ৮টি পদ রয়েছে ।
25. বিদ্যাপতির রচিত নাটক ‘গোরক্ষবিজয়’, ‘মণিমঞ্জুরি’।
26. বিদ্যাপতির পদসংকলন গ্রন্থের নাম ‘মহাজন পদাবলী’ ।
27. মহাজন পদাবলী’ প্রকাশ করেন জগবন্ধু ভদ্র ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে।
28. বিদ্যাপতি পদাবলী সারদাচরণ মিত্র ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশ করেন ।
29. বিদ্যাপতির পদ প্রথম সংগ্রহ করেন জর্জ গীয়ারসন ।
30. বিদ্যাপতির পদাবলীর বৃহত্তম সংস্করণ প্রকাশ করেন দীনেশচন্দ্র সেন ।
31. বিদ্যাপতির আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘বিভাগসার’ ।
32. বিদ্যাপতি প্রথম ভোগীশ্বর রাজার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন।
33. বিদ্যাপতি সংস্কৃত, অবহট্ঠ, মৈথিল ভাষায় কাব্য রচনা করেন ।
34. ‘বিদ্যাপতি বাঙালী নন’ - রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় একথা বলেন ।
35. বিদ্যাপতির লেখা ইতিহাস গ্রন্থ - ‘কীর্তিলতা’ ও ‘কীর্তিপতাকা’ (অবহট্ট ভাষায় রচনা)।
36. বিদ্যাপতি রানী লছিমা দেবীর গুণমুগ্ধ ছিলেন ।
37. জন বীমসের মতে বিদ্যাপতির আসল নাম ‘বসন্তরায়’ ।
38. বিদ্যাপতি রচিত প্রথম গ্রন্থ ‘ভূপরিক্রমা’ ।
39. বিদ্যাপতিকে বিদেশী কবি চসারের সাথে তুলনা করা হয় ।
40. বিদ্যাপতি রচিত ‘পুরুষ পরীক্ষা’ সংস্কৃত ভাষায় রচিত ।
41. বিদ্যাপতিকে শৃঙ্গার রসের কবি বলা হয় ।
42. বিদ্যাপতির পদে উল্লিখিত মুসলমান রাজা ছিলেন নুসরৎ শাহ ।
43. বিদ্যাপতির ভাষাকে বিকৃত মৈথিলী বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
44. বিদ্যাপতিকে ‘পঞ্চপাসক হিন্দু’ বলে প্রচার করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ।
45. বিদ্যাপতিকে বাইরের কবি বলেছেন অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ।
46. বিদ্যাপতি বাঙালী নন একথা প্রমান করেন রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ।
47. বিদ্যাপতির স্মৃতিশাস্ত্রমূলক রচনা দুর্গাভক্তি তরঙ্গিনী ।
48. ‘বিদ্যাপতির কবিতা দুরগামিনী বেগবতী তরঙ্গসঙ্কুলা নদী’ - একথা বলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
49.‘বাঙালী বিদ্যাপতির পাগড়ী খুলিয়া ধুতি চাদর পড়াইয়া দিয়াছে’ - একথা বলেন দীনেশচন্দ্র সেন ।
No comments