Page Nav

HIDE

Classic Header

{fbt_classic_header}

NEW :

latest

চর্যাপদের রচনাকাল, আবিস্কারকাল, সমাজচিত্র - বিস্তারিত আলোচনা :

বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধনতত্ত্ব ও সাধন প্রণালীকেন্দ্রিক চর্যাগান হল বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। মাগধী অপভ্রংশের খোলস ত্যাগ করে বাংলা ভাষা সদ্যো...

বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধনতত্ত্ব ও সাধন প্রণালীকেন্দ্রিক চর্যাগান হল বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। মাগধী অপভ্রংশের খোলস ত্যাগ করে বাংলা ভাষা সদ্যোজাত হয়েছে আনুমানিক দশম শতাব্দীতে এবং এর ব্যাপ্তিকাল প্রায় দু’শ বছর।


    আবিষ্কার :    
         ঊনবিংশ শতকের শেষভাগে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র সর্বপ্রথম বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাহিত্যের বিচিত্র রূপ সুধীজনের কাছে তুলে ধরেন। তিনি নেপাল ভ্রমণ করে এই শ্রেণীর বহু পুঁথি উদ্ধার করেন। রাজেন্দ্রলালের মৃত্যুর পর মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ওপর সরকার কর্তৃক পুঁথি অনুসন্ধানের ভার পড়ে। এই সময়ে শাস্ত্রী মহাশয় তৃতীয়বার নেপাল যাত্রা করেন এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে নেপালের রাজদরবার থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করেন।

    পুঁথি পরিচয়ঃ    
        হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত চর্যাপদের পুঁথিটি তালপাতায় লেখা। একটি পাতার উভয় পৃষ্ঠাতেই পক্তিগুলি একটানা সাজানো। প্রতিটি পৃষ্ঠায় পাঁচটি করে পঙক্তি। লুপ্ত পাতাগুলি বাদে পুঁথির পাতার সংখ্যা মোট ৬৪টি। শেষের পাতার পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৯। অর্থাৎ মোট পাঁচটি পাতা নেই। সেগুলি হল ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৯ ও ৬৬ সংখ্যক পৃষ্ঠা। প্রথম পাতার দ্বিতীয় পৃষ্ঠা থেকে গ্রন্থের শুরু। পুঁথিটি শুরু হয়েছে ‘নমঃ শ্রীবজ্রযোগিন্যৈ’ শব্দ দিয়ে।  তারপর টীকা এবং টীকার শেষে গানের ক্রমিক সংখ্যা। পুঁথিতে গানের সংখ্যা পঞ্চাশটি হলেও মাঝখানের ও শেষের কয়েকটি পাতা না পাওয়ায় ২৩ সংখ্যক গানের ছয়টি চরণ ছাড়া ২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক গান সম্পূর্ণ লুপ্ত।

     পুঁথি প্রকাশঃ    
      ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা নামে যে গ্রন্থটি শাস্ত্রী মহাশয় প্রকাশ করেনচর্যাপদ তার অন্তর্ভুক্ত। এই সংকলনে চারটি গ্রন্থ ছিল
(১) 'চর্যাচর্য-বিনিশ্চয়
(২) ‘সরহপাদের দোহা
(৩) 'কৃষ্ণপাদের দোহা ও 
(৪) ‘ডাকার্ণব


   নামকরণ বিতর্কঃ    
         চর্যাপদ মুদ্রিত হবার পর পুঁথির নামকরণ নিয়ে মতভেদ সৃষ্টি হয়। আবিষ্কারক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী গ্রন্থটির নাম দেন ‘চৰ্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়’। এই গ্রন্থের মুখবন্ধে তিনি লিখেছিলেন—“১৯০৭ সালে আবার নেপালে গিয়া আমি কতকগুলি পুঁথি দেখিতে পাইলাম। একখানির নাম ‘চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়'। উহাতে কতকগুলি কীর্তনের গান আছে ও তাহার সংস্কৃত টীকা আছে। গানগুলি বৈষ্ণবদের কীর্ত্তনের মত, গানের নাম ‘চর্যাপদ’।” 

জাহ্নবীকুমার চক্রবর্তী তাঁর 'চর্যাগীতির ভূমিকা গ্রন্থে যথার্থই লিখেছেন নাম-বিতর্কের দুটি নিরিখ। এক দল সংকলিত গীতের সূত্রে নামকরণ করতে চেয়েছেন, অন্য দলের বিবেচ্য সংস্কৃত টীকা। পণ্ডিতদের মধ্যে কে কোন নাম প্রয়োগ করতে চান তা প্রথমে উল্লেখ করা যাক।

নামকর্তা                          প্রদত্ত নাম
বিধুশেখর ভট্টাচার্য --- আশ্চর্যচর্যাচয়
প্রবোধচন্দ্র বাগচী ---- চর্যাগীতিকোষ
সুকুমার সেন ----- চর্যাগীতি পদাবলী

         


  তিব্বতি অনুবাদের সাক্ষ্য মান্য করে যদি স্বীকার করে নেওয়া হয়, এটি পদসংকলন পুথি নয়, টীকা, তাহলে ‘চর্যাগীতিকোষ', 'চৰ্য্যাপদ', 'চর্যাগীতি পদাবলী' ইত্যাদি নাম অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে ‘চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়’ নামটি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিধুশেখর ভট্টাচার্য টীকার বস্তুনিদের্শক শ্লোকের 'আশ্চর্যচর্যাচয়' শব্দসাপেক্ষে এর নাম তাই রাখতে চেয়েছিলেন। তবে আবিষ্কারক সম্পাদক হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্মানার্থে 'চর্য্যাচর্যবিনিশ্চয়' নাম অপরিবর্তিত রাখার পক্ষপাতী অনেকেই। যে গ্রন্থে সিদ্ধাচার্যদের চর্য (আচরণীয়) ও অচর্য (অনাচরণীয়) নিশ্চিতরূপে নির্দেশ করা হয়েছে তাই নাকি ‘চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়'। বিশ্বভারতী প্রকাশিত 'চর্যাগীতিকোষ'-এর ভূমিকায় ভিক্ষুশাস্ত্রীও এই মত প্রকাশ করেছেন। অবশ্য সুকুমার সেন মনে করেন 'চর্যাচর্যবিনিশ্চয়' নামটি অশুদ্ধ, শুদ্ধ রূপটি হওয়া উচিত 'চর্য্যাশ্চর্য্য বিনিশ্চয়'।


    রচনাকাল বিতর্কঃ    
        প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য নিদর্শনগুলির কাল নির্ণয়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।  চর্যাগীতির রচয়িতা একজন নন, বহুজন। এই সমস্ত বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য সম্বন্ধে নানা কিংবদন্তি প্রচলিত ছিল। আবার এঁদের রচিত অন্যান্য নানা সৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। এই সূত্রগুলিকে একত্রিত করে চর্যাগাতির রচনাকাল নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে গবেষকরা এ বিষয়ে সহমত হতে পারেননি। প্রথমে আমরা চর্যার রচনাকাল হিসেবে বিশিষ্ট পণ্ডিতবর্গ কে কোন সময়টিকে কী কারণে নির্দেশ করেছেন তা সারণি আকারে সাজিয়ে দিচ্ছিঃ

রচনাকাল নির্দেশকের নাম

রচনাকাল

সিদ্ধান্তের কারণ

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

দশম শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগ।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে আদি সিদ্ধাচার্য লুইপাদ অতীশ দীপঙ্করের ‘অভিসময়বিভঙ্গ’ রচনায় সাহায্য করেন। অতীশ দীপঙ্কর ১০৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিব্বতে যান চট্টোপাধ্যায় লুইকে অতীশের 'elder contemporary' মনে করে রচনাকালের ঊর্ধ্বসীমা হিসেবে ৯৫০ খ্রিস্টাব্দকে নির্দেশ করেছেন। নিম্নসীমায় রয়েছেন কাহ্নপাদ। কাহ্নপাদের ‘হেরজ-পঞ্জিকা যোগর-মালা'র অনুলিপি ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। সুতরাং কাহ্নপাদের জীবৎকালের নিম্নসীমা ১১৯৯ খ্রিস্টাব্দ।

রাহুল সাংকৃত্যায়ন

 

অষ্টম থেকে একাদশ শতাব্দীর মধ্যে।

 

তাঁর মতে আদি সিদ্ধাচার্য সরহপাদ। ইনি শাস্ত রক্ষিতের সমসাময়িক। শান্ত রক্ষিত ভোট-সম্রাট "খি-স্রোঙ-দে চর্ন-এর রাজত্বকালে (৭৫৫-৭৮০ ) ঠিকাতে যান। সাংকৃত্যায়ন মনে করেন লুইপাদ ধর্মপালের রাজত্বে শেষভাগ (৮০০) পর্যন্ত বর্তমান ছিলেন।

মহম্মদ শহীদুল্লাহ

সপ্তম শতাব্দীতে চর্যাপদের রচনা শুরু।

শহীদুল্লাহের মতে আদি সিদ্ধাচার্য শবরপাদ । শবরপাদ কমলশীলের জন্য সংস্কৃতে দুটি বই লেখেন। কমলশীলও তিব্বত-রাজ কি--- চন-এর আহ্বানে ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে তিব্বতে যান। এছাড়াও কম্বলাম্বরপাদ রাজা ইন্দ্রভৃতির দীক্ষাগুরু। ইপ্রভৃতি পদসম্ভবের (৭২১/২২) পালকপিতা। সুতরাং কম্বলাম্বরপাদ সপ্তম শতাব্দীর লোক।

 

         সুনীতিকুমার তাঁর বিচারে সিদ্ধাচার্যদের নিয়ে প্রচলিত কাহিনি ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেননি। সিলষ্ঠা লভি, লামা তারনাথ, বিনয়তোষ ভট্টাচার্য প্রমুখ পণ্ডিতবর্গ কিংবদন্তিগুলিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কিংবদন্তি পাথুরে প্রমাণ নয়। তাই চর্যাগীতিগুলির রচনাকালের সীমা খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে ধরা যেতে পারে।

   চর্যাপদের ভাষাঃ   
        যুগগত দিক থেকে চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন বাংলা । আর যে ধরনের ভাষায় এই পদগুলি রচিত হয়েছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে মহামোহপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যার ভাষার নামকরণ করেন ‘সন্ধ্যাভাষা’ । সন্ধ্যাভাষা কথাটির ভিত্তি এর আলো আঁধারী রহস্যময়তা, খানিক বোঝা যায় - খানিক বোঝা যায় না ।

    সন্ধ্যাভাষাঃ    
        হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মশাইয়ের মতে, সন্ধ্যাভাষা হল আলো আঁধারি ভাষা-কতক আলো-কতক অন্ধকার খাণিক বোঝা যায় খাণিক বোঝা যায় না। বিধৃশেখর শাস্ত্রী মহাশয়ের মতে, ‘সন্ধ্যা’ শব্দের অর্থ হল – ‘অভিপ্রেত অর্থ। পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন - সন্ধ্যাভাষা হল সন্ধ্যাদেশের ভাষা, টীকাকার মুণি দত্তের মতে, গূঢ়ার্থ প্রচ্ছন্ন রেখে অস্পষ্টতার আবরণই এই ভাষার লক্ষণ।

   পদকর্তা ও পদ সংখ্যাঃ    
        চর্যাপদের মোট পদকর্পতা সংখ্যা ২৩ জন (মতান্তরে ২৪জন) এবং পদ সংখ্যা ৫০টি ( মতান্তরে ৫১টি ) । চর্যাপদের প্রাপ্ত পদের সংখ্যা সাড়ে ছেচল্লিশটি । চর্যার শেষ পাতার সংখ্যা ৬৯ । তবে ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৬৫ সংখ্যক পত্রগুলি পুথিতে নেই । পুথির প্রতিপত্রের দুই পৃষ্ঠাতেই লেখা।

 কবিদের নাম

পদ সমষ্টি

 পদ সংখ্যা

 ১. কাহ্ন পা        

১৩টি

 ৭, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৮, ১৯, ২৪, ৩৬, ৪০, ৪২, ৪৫

 ২. ভুসুক পা 

৮টি

 ৬, ২১, ২৩, ২৭, ৩০, ৪১, ৪৩, ৪৯

 ৩, সরহ পা

৪টি

 ২২, ৩২, ৩৮, ৩৯

 ৪. কুক্কুরি পা

৩টি

 ২, ২০, ৪৮

 ৫. লুই পা

২টি

 ১, ২৯

 ৬. শবর পা

২টি

 ২৮, ৫০

 ৭. শান্তি পা

২টি

 ১৫, ২৬

 ৮. আর্যদেব

১টি

 ৩১

 ৯. কঙ্কণ পা

১টি

 ৪৪

 ১০. কম্বলাম্বর পা

১টি

 ৮

 ১১. গুড্ডরী পা

১টি

 ৪

 ১২. চাটিল পা

১টি

 ৫

 ১৩. জয়নন্দী

১টি

 ৪৬

 ১৪. ডোম্বি পা

১টি

 ১৪

 ১৫. ঢেনঢন পা

১টি

 ৩৩

 ১৬. তন্ত্রী পা

১টি

 ২৫

 ১৭. তাড়ক পা

১টি

 ৩৭

 ১৮. দারিক পা

১টি

 ৩৪

 ১৯. ধাম / গুঞ্জরী পা

১টি

 ৪৭

 ২০. বিরূপা পা

১টি

 ৩

 ২১. বীণা পা

১টি

 ১৭

 ২২. ভদ্র পা

১টি

 ৩৫

 ২৩. মহীধর পা

১টি

 ১৬



    চর্যার মূল পদ ও পদকর্তাঃ    

পদ নং

মূল পদ

পদকর্তা

১.

*** ‘কা আ তরুবর পঞ্চবি ডাল’

লুই পা

২.

*** ‘দুলি দুহি পিটা ধরণ ন জাই’

কুক্কুরি পা

৩.

‘এক সে সুন্ডিনি দুই ঘরে সান্ধাঅ’

বিরুপা পা

৪.

‘তিঅড্ডা চাপি জোইনি দে অঙ্কবালী’

গুন্ডরী পা

৫.

‘ভবণই গহণ গম্ভীর বেগে বাহি’

চাটিল পা

৬.

‘কাহারে ঘিণি মেলি অচ্ছহু কীস’

ভুসুক পা

৭.

‘আলিএ কালিএ বাট রুন্ধেলা’

কাহ্ণ পা

৮.

*** ‘সোনে ভরিলী করুণা নাবী’

কম্বলাম্বর পা

৯.

‘এবংকার দৃঢ় বাথোর মোড্ডউ’

কাহ্ণ পা

১০.

*** ‘নগর বাহিরে রে ডোম্বি তোহোড়ি কুড়আ’

কাহ্ণ পা

১১.

‘নাড়ি শক্তি দিঢ় ধরিঅ খট্টে’

কাহ্ণ পা

১২.

‘করুণা পিহাড়ি খেলহু নয় বল’

কাহ্ন পা

১৩.

‘তিশরণ ণাবি কিঅ অঠকমারী’

কাহ্ন পা

১৪.

‘গঙ্গা জউণা মাঁঝেরে বইহ নাই’

ডোম্বি পা‘

১৫.

‘সঅসন্বেঅণ সরুঅ বিআরেতে অলকখ লকখণ ন জাই’

শান্তি পা

১৬.

‘তিণিএ পাটে লাগিলি রে অণহ কসণ ঘণ গাজই’

মহীধর পা

১৭.

‘সূজ লাউ সসি লাগেলি তাপ্তি’

বীণা পা

১৮.

‘তিনি ডুঅন মই বাহিঅ হেলে’

কাহ্ণ পা

১৯.

‘ভব নিব্বানে পড়হ পড়হমালা’

কাহ্ণ পা

২০.

‘হাঁউ নিরাসি খমন ভতারি’

কুক্কুরি পা

২১.

*** ‘নিসি অন্ধারি মুসার চারা’

ভুসুকু পা

২২.

‘অপণে রচি রচি ভব নির্বাণা’

সরহ পা

২৩.

‘জই তুমহে ভুসুকু অহেরি জাইবে মরিহষি পঞ্চজনা’

ভুসুকু পা

২৪.

(এটি পাওয়া যায় নি)

২৫.

(এটি পাওয়া যায় নি)

২৬.

‘তুলা ধুণি ধুণি আসুরে আঁসু’

শান্তি পা

২৭.

‘অধরাতি ভোর কমল বিকসউ’

ভুসুকু পা

২৮.

*** ‘উচা উচা পাবত তহি বসই সবরী বালী’

শবর পা

২৯.

‘ভাব না হোই অভাব ন জাই’

লুই পা

৩০.

‘করুণ মেহ নিরন্তর ফরিঅ’

ভুসুকু পা

৩১.

‘জহি মন ইন্দি অবন হো নঠা’

আর্যদেব‌

৩২.

‘নাদ ন বিন্দু ন রবি ন সসিমন্ডল’

সরহ পা

৩৩.

*** ‘টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষি’

ঢেন্ঢণ পা

৩৪.

‘সুনকরুণরি অভিনচারে কাঅবাকচিঅ’

দারিক পা

৩৫.

‘এতকাল হাঁউ অচ্ছিলেষু মোহে’

ভদ্র পা

৩৬.

‘সুন বাহ তথতা পহারি’

কাহ্ণ পা

৩৭.

‘আপণে নাহি মো কাহেরি সঙ্কা’

তাড়ক পা

৩৮.

‘কা্আ নাবডহি খান্টিমণ কেডুআল’

সরহ পা

৩৯.

*** ‘সুইনা হথ বিদারম রে’

সরহ পা

৪০.

‘জো মনগোএর আলাজালা’

কাহ্ন পা

৪১.

‘আইএ অনুঅনা এ জগরে ভাংতঅ সো পড়িহাই’

ভুসুকু পা

৪২.

‘চিঅ সহজে শূণ সংপুন্না’

কাহ্ন পা

৪৩.

‘সহজ মহাতরু ফরিঅ এ তৈলো্এ’

ভুসুকু পা

৪৪.

‘সুনে সুন মিলিত্তা জবেঁ’

কঙ্কণ পা

৪৫.

‘মণ তরু পাঞ্চ ইন্দি তসু সাহা’

কাহ্ন পা

৪৬.

‘পেখু সুঅনে অদশ জইসা’

জয়নন্দী পা

৪৭.

‘কমলকুলিশ মাঝেঁ ভইঅ মিঅলি’

ধাম পা / গুঞ্জরী পা

৪৮.

(এটি পাওয়া যায় নি)

৪৯.

‘বাজনাব পাড়ী পঁউয়া খালে বাহউ’

ভুসুকু পা

৫০.

‘গঅনত গঅনত তইলা বাডহি হেঞ্চে কুরাহী’

শবর পা

 

   চর্যার ছন্দঃ    
         চর্যার ছন্দে অপভ্রংশ ও অবহট্টের প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়। আবার কেউ কেউ পাদাকুলক ছন্দের কথা বলেছেন। চর্যার দুটি ছন্দের প্রভাব লক্ষিত হয় - একটি যোলমাদ্রার প্রাচীন ‘পদ্ধড়ী' বা 'চৌপদী' ছন্দ এর থেকেই বাংলা পদ্দার ছন্দের উৎপত্তি। আর আছে প্রত্ন মাদ্রাবৃত্তের দীর্ঘ ত্রিপদী ছন্দ। পরবর্তী কালে এই দীর্ঘ ত্রিপদী ছন্দ বাংলা অক্ষরবৃত্ত ত্রিপদী ছন্দের প্রচলন দুটি গেছে।

    চর্যাপদে প্রাপ্ত প্রবাদ-প্রবচনঃ     
            চর্যাগীতিতে ৬টি প্রবাদ প্রবচন পাওয়া যায় । এগুলি হলঃ
(a) ‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী’ (হরিণের মাংসই তার জন্য শত্রু),
(b) ‘দুহিলা দুধু কি বেন্টে সমাঅ’(দোহন করা দুধ কি আর বাটে প্রবেশ করানো যায় ?),
(c) `হাতের কাঙ্কণ মা লোউ দাপন' (হাতের কাকন দেখার জন্য দর্পণ প্রয়োজন হয় না),
(d) `হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী' (হাঁড়িতে ভাত নেই, অথচ প্রতিদিন অতিথি এসে ভীড় করে),
(e) `বর সুন গোহালী কি মো দুঠ্য বলংদেঁ' (দুষ্ট গোরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভাল),
(f) `আন চাহন্তে আন বিনধা' (অন্য চাহিতে , অন্য বিনষ্ঠ) ।

    চর্যাপদের সমাজচিত্রঃ     
    বিশুদ্ধ সাহিত্য সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে চর্যাপদ রচিত না হলেও চর্যাপদের কবিগণ বাস্তব জীবনের বিভিন্ন চিত্রকে রুপক হিসাবে ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন চর্যার পদগুলিতে । যেমন --
(a) চর্যাপদের পদ গুলিতে ডোম, শবর ইত্যাদি নিম্নবর্গীয় মানুষের জীবনযাপন সংক্রান্ত তথ্যই বেশি প্রতিফলিত হয়েছে।
(b) প্রাচীন বাংলার মানুষের তাঁত বোনা, চাঙ্গারি তৈরি, পশু শিকার করা, নৌকা বাওয়া, মাছধরা, মদ তৈরী জঙ্গলের গাছ কাটা প্রভৃতি কয়েকটি জীবিকার উল্লেখ আছে এই গ্রন্থে।
(c) চর্যাপদের সমাজ ও আজকের দিনের সাধারণ বাঙালি সমাজের মত ছিল তা সেই সময়কার খাবার-দাবারের পরিচয় জানলে খুব সহজেই বোঝা যায়।
(d) বিভিন্ন চর্যাপদে বারবার বিনোদনের বিষয়টিকে দেখা গেছে। সমাজ জীবনে যেমন দুঃখ ছিল কষ্ট ছিল ঠিক তেমনি এই বিনোদন থেকে দেখে মনে করা হয় তারা সমাজ জীবনের মধ্যে সবকিছু সঙ্গে বিনোদন কেউ এক করে নিয়েছিল।


    চর্যাপদের সাহিত্যমূল্যঃ    
(a) বহুবিচিত্র অনুভব ও অভিজ্ঞতার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় চর্যাপদ এ , যার কোন কোন একটি পদ মানবিক আবেদনে রসসিক্ত।
(b) চর্যাপদ গুলি মূলত গান হওয়ার ছন্দের ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও এর শিথিলতা আছে। তা সত্ত্বেও প্রাকৃত পাদাকুলক ছন্দের আদর্শকে যথাসম্ভব অনুসরণের চেষ্টা এই পদ গুলির মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
(c) চর্যাপদের ভাব আর ভাষা এযুগের কবিরাও অনুকরণ করেছে। যেমন চর্যাপদের দ্ব্যর্থকতা আমরা মধ্যযুগের কাব্য কবিতা এমনকি আধুনিক যুগের আধুনিক কবিতা গুলির মধ্যে লক্ষ্য করতে পারি।
(d) চর্যাপদ শুধু প্রাচীন যুগের কাব্যকলা নয় তা আধুনিক যুগের কাব্য কলার প্রাণপুরুষ।


     চর্যাপদের ঐতিহাসিক গুরুত্বঃ     
(a) বাংলা সাহিত্যের উন্মেষ পর্বের একমাত্র বাংলা রচনা চর্যাপদ । এর পরবর্তী দু’শো বছরের কোনো সাহিত্যিক নিদর্শন আবিস্কৃত হয়নি ।
(b) চর্যাপদ গান নয়, শ্লোক নয় - বহুচরণ সমন্বিত গীতিধর্মী এবং প্রকৃতপক্ষে এই পদগুলি গাওয়া হত ।
(c) সাধক কবিরা তাদের সাধনার লক্ষ্য, পদ্ধতি চর্যাপদের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ।
(d) প্রাচীন বাংলার ভাষারূপ ও সমাজ জীবন জানতে নির্ভর করতে হয় চর্যাপদের উপর ।


   নবচর্যাপদঃ   
    হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের পর ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত নেপাল থেকে আরোও ২৫০টি চর্যাগান আবিস্কার করেন । এই চর্যাগানগুলি থেকে নির্বাচিত ৯৮টি পদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয় । এগুলি নবচর্যাপদ নামে পরিচিত ।
নব চর্যাপদ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়



এক নজরে চর্যাপদ



১. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ ।
২. চর্যা শব্দের অর্থ আচরনীয় ।
৩. চর্যাগীতিগুলি সাধনতত্ত¡ জ্ঞাপক বিষয়ের পরিচায়ক ।
৪. ঊনবিংশ শতকে  সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সর্বপ্রথম বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের বিচিত্র রূপ তুলে ধরেন ।
৫. রাজেন্দ্রলাল মিত্র নেপাল থেকে বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাহিত্যের অনেক পুঁথি আবিস্কার করেন ।
৬. রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মৃত্যুর পর বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাহিত্য উদ্ধারের দায়িত্ব পান  হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ।
৭. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকৃত নাম শরৎনাথ ভট্টাচার্য ।
৮. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তিনবার নেপাল যাত্রা করেন ।
৯. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৃতীয়বার নেপালে গিয়ে চর্যাপদের পুঁথি আবিস্কার করেন ।
১০. চর্যাপদের পুঁথি আবিস্কৃত হয় ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে ।
১১. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে তালপাতায় লেখা চর্যাপদের পুঁথি আবিস্কার করেন ।
১২. ‘নমঃ শ্রীবজ্রযৌগিন্যৈ’ শব্দ দিয়ে চর্যাপদের পুঁথিটি শুরু হয়েছে ।
১৩. চর্যাপদের রচনাকাল আনুমানিক দশম - দ্বাদশ শতাব্দী ।
১৪. চর্যাপদের প্রকাশকাল ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ ।
১৫. বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘চর্যাপদের পুঁথি’ প্রকাশিত হয়  ।
১৬. বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদের প্রকাশিত নাম ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোঁহা’।
১৭. নীলরতন সেন ১৯৭৮খ্রিষ্টাব্দে  চর্যাপদের ফটোকপি প্রকাশ করেন ।
১৮. চর্যাপদের প্রাপ্ত মোট পদের সংখ্যা ৫০টি ( মতান্তরে ৫১টি )।
১৯. চর্যাপদের প্রাপ্ত পদের সংখ্যা সাড়ে ছেচল্লিশটি ।
২০. চর্যার শেষ পাতার সংখ্যা ৬৯ ।
২১. চর্যাপদে উল্লিখিত কবির সংখ্যা ২৩ জন ( মতান্তরে ২৪ জন ) ।
২২. চর্যাপদ মূলত পাদাকুলক ছন্দে ( পটমঞ্জুরি রাগে ) রচিত হয়েছে ।
২৩. চর্যাপদের পদকর্তাদের  বলা হয় -  ‘পা’ বা ‘পাদ’ ।
২৪. ল্ইু পা হলেন চর্যাপদের আদি / প্রাচীন পদকর্তা  ।
২৫. চর্যাপদের বাঙালী পদকর্তা ভুসুকু পা ।
২৬. চর্যাপদের একমাত্র মহিলা কবি কুক্কুরী পা ।
২৭. চর্যাপদের প্রধান সিদ্ধাচার্য কাহ্ন পা ।
২৮. মুনিদত্ত লুই পা’কে আদি সিদ্ধাচার্য বলেছেন ।
২৯. সবচেয়ে বেশি চর্যাপদ রচনা করেছেন কাহ্ন পা (১২টি) ।
৩০. চর্যাপদের টীকাকারের নাম মুনি দত্ত ।
৩১. চর্যাপদের টীকার নাম ‘নির্মলগীরা’ ।
৩২. চর্যাপদের টীকা নির্মলগীরা সংস্কৃত ভাষায় রচিত ।
৩৩. চর্যার ইংরাজি অনুবাদক পি. সি. বাগচী ।
৩৪. মনে করা হয়  ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’ একমাত্র বাংলা ভাষায় রচিত, বাকি পুঁথিগুলি অপভ্রংশ - অবহটঠ ভাষায় রচিত।
৩৫. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘The Origin and Devolopment of the Bengali Language গ্রন্থে  প্রমান করেন - চর্যাপদের ভাষা প্রধানত এবং মূলত বাংলা ।
৩৬. প্রবোধচন্দ্র বাগচীর মতে  চর্যাপদের নাম  ‘চর্যাচর্য় বিনিশ্চয়’ ।
৩৭. বিধুশেখর শাস্ত্রী চর্যাপদের নাম দিয়েছেন ‘আশ্চর্যচর্যাশ্চয়’ ।
৩৮. সুকুমার সেন চর্যাপদের নাম দিয়েছেন ‘চর্যাগীতিকোষ’।
৩৯. সুকুমার সেনের মতে চর্যাপদের সংস্কৃত টীকার নাম ‘চর্যচর্যবিনিশ্চয়’ ।
৪০. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রথম জানান চর্যার তিব্বতী অনুবাদ আছে  ।
৪১. চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদক হলেন -  প্রবোধচন্দ্র বাগচী / শীলচারী ।
৪২. তিব্বতীতে প্রাপ্ত চর্যাপদে পদের সংখ্যা ৫১টি ।
৪৩. চর্যাপদের অবাঙালী আবিস্কর্তা রাহুল সাংকৃতায়ন ।
৪৪. চর্যাপদের প্রথম পদ ‘কা আ তরুবর পঞ্চবি ডাল’ ( রচয়িতা -লুই পা ) ।
৪৫. উঁচা উঁচা পাবত তাঁই বসই সবরী বালী ...’ পদটির রচয়িতা হলেন-  শবর পা ।
৪৬. নগর বাহিরী ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ’ - পদটি কাহ্ন পা’র লেখা ।
৪৭. ভবনই গহন গম্ভীর বেগে বাহী’ - পদটি চাটিল পা’র লেখা পদ ।
৪৮. সোনে ভরিনী করুনা নাবি / রূপা থুই নাহিক ঠাবী’ পদের রচয়িতা  হলেন  - কমলাম্বর পা ।
৪৯. চর্যাপদের প্রথম পদে মল্লার রাগের উল্লেখ পাওয়া যায় ।
৫০. প্রথম পাতার দ্বিতীয় পৃষ্ঠা থেকে চর্যাপদের শুরু হয়েছে।
৫১. চর্যাপদের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ৫টি করে পঙতি ছিল  ।
৫২. লুপ্ত পাতা বাদে চর্যাপদের শেষ পাতার সংখ্যা ছিল - ৬৪ টি ।
৫৩. চর্যাপদের লুপ্ত পাতাগুলি হল যথাক্রমে - ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৯ এবং ৬৬ ।
৫৪. চর্যাপদের ভাষা ‘সন্ধ্যাভাষা’ ।
৫৫. চর্যাপদের ভাষাকে ‘সন্ধ্যা’ বলেছেন বিধুশেখর শাস্ত্রী ।
৫৬. সন্ধ্যা’ শব্দের প্রকৃত অর্থ সম্যক জ্ঞান ।
৫৭. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদের নামকরন করেন - ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’ ।
৫৮. চর্যাপদে সবচেয়ে বেশি  রূপক অলংকার ব্যবহৃত হয়েছে ।
৫৯. চর্যাপদের আমলে প্রচলিত খেলাটি ছিল দাবা ।
৬০. চর্যার শেষ পদটি রামক্রি রাগে রচিত ।
৬১. চর্যার নতুন কবি আবুধ বিনয়শ্রী ।
৬২. চর্যাপদ কুটিল লিপিতে লেখা ।
৬৩. শশীভূষণ দাশগুপ্ত  ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে ‘নব চর্যাপদ’  আবিস্কার করেন ।
৬৪. নব চর্যাপদ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
৬৫. ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত ‘নব চর্যাপদে’ ৯৮টি পদ স্থান পেয়েছে ।
৬৬. নব চর্যাপদে মোট ২৫০টি পদের সন্ধান পাওয়া যায় ।
৬৭. ভুসুক পা’র আসল নাম শান্তি পা ।
৬৮. কাহ্ন পা’র আসল নাম কৃষ্ণাচার্য ।
৬৯. চর্যাপদের ছদ্মানামযুক্ত কবি গুন্ডরী কুক্করী ।
৭০. কাহ্ন পা’র লেখা পুঁথির নাম ডাকার্নব ।
৭১. কাহু পা’র উপাধি ছিল পন্ডিতাচার্য ।
৭২. চর্যপদের চিত্রধর্মী কবি ভুসুক পা ।
৭৩. চর্যাপদে মোট ৬টি প্রবাদবাক্য রয়েছে ।
৭৪. চর্যাপদে কার্পাস ফুলের কথা আছে ।
৭৫. চর্যার হিন্দি অনুবাদের নাম দোহাকোষ ।
৭৬. বাংলার আদি কবি মীননাথ ।
৭৭. চর্যাপদে গঙ্গা ও পদ্মা  নামে দুটি নদীর কথা আছে ।
৭৮.  অবাঙালী পন্ডিত  রাহুল সাংকীর্তায়ন / ধর্মবীর ভারতী  চর্যাপদ নিয়ে গবেষণা করেছেন ।
৭৯. চর্যাপদের দুজন বিদেশী গবেষকের নাম হল  - আর্নল্ডড বেক এভং  ডক্টর জি. টুসি ।
৮০. চর্যাপদকে বাংলায় প্রথম লেখেন মনীন্দ্রমোহন বসু ।

3 comments

  1. Very helpful this note.আধুনিক যুগের উপর এই ভাবে নোটস দিলে খুবই ভালো হবে।

    ReplyDelete
  2. সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লেখা।

    ReplyDelete